আম্রপালি নারী

❑

বিরহ অনুভব করতে পারি বলেই তো
প্রেমের মূল্য বুঝি
প্রেম থেকে মূলত বিরহকাতর প্রেমিকের
কোনো নিস্তার নেই
দিগন্তে উড়ে যাওয়া থেকে বিরতি পায় না যেমন
বিরহী পাখিরা

নদীর নাব্যতা কাঁদে সময়ের গভীরতায়
আমার মন কাঁদে যার জন্য, সে এক আম্রপালি নারী

দিন গুলো লাবণ্যহীন ভেষজ এখন
আমার মাংসাশী মন, ভেষজে তৃপ্ত নয়
কী করে তোমার মনের গহ্বরে ঢুকবো বলো?

ঘরের দরজা জানালায় শিটকিনি লাগিয়ে দিয়েছি
আজ রাতে দুহাত ভরে
মোমের আলোয় কানামাছি খেলবো
আর, দেখবো কতটা আলো শরীরে মাখলে
আধাঁরে নিজেকে প্রজ্বলিত করা যায়।

বৃক্ষ এবং পাখিদের মতো
আমারও এখন আর কোনো সুখবর নেই
আমি এক আজন্ম বিরহকাতর পাখি

আমি আর ফিরব না ঘরে

❑

বিদীর্ণ জীবনের মেটালিক ভেন্টিলেটরে হিম কুয়াশার আঁচল ধরে ঝুলে আছি সময়ের মাঝ পথে। আমার যা কিছু অনন্ত কামনা যোজন যোজন, তা তোমার চাহনিতে লুকোচুরি খেলে ভোরের বাতাসে। তোমার প্রেম ছিল যত এতদিন অফুরান, আমি তার অবাধ্য বোধে ক্রমশ ভাসি যমুনার জলে। পথহারা পাখি যেহেতু ফেরেনা ঘরে, আমি কী করে ফিরে আসি সময়ের বিরুদ্ধ স্রোতে?